চাঁদা দাবির মামলায় কারাগারে এসআই ও এএসআই!

এনটিভি:
চাঁদাদাবির মামলায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী এজাহারে বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর বাদী সাংগঠনিক কাজে আওয়ামী লীগের অফিসে আসেন। পার্টি অফিস থেকে বন্ধু অভির সঙ্গে তার বাসা সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে তারা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সামনে নেমে যান।

এরপর আসামি ইউসুফ মোটরসাইকেল করে এসে বাদীকে বলেন, সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, তার কাছে মাদক আছে। পরে জিয়াউর রহমান ও আরও দুই আসামি বাদীকে তল্লাশি করেন। কিন্তু মাদক না পাওয়ায় বাদীর মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যান। এরপর বাদী ও বাদীর সঙ্গে থাকা বন্ধু অভিকে আসামিরা যক্ষ্মা হাসপাতালে সামনে নিয়ে যান। এবং বাদীর কাছে আরও ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন।

আসামিরা হলেন- শেরেবাংলা নগর থানার এসআই ইউসুফ আলী ভুইয়া ও এএসআই জিয়াউর রহমান।

জিআরও বলেন, আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান মণ্ডল আসামিদের হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল শনিবার ভিকটিম আমির হোসেন বাদী হয়ে চাঁদাদাবির অভিযোগ এনে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন এসআই ইউসুফ আলী ভুইয়া, এএসআই জিয়াউর রহমান এবং তাদের দুই সোর্স সোহাগ ও নাদিম। মামলায় এসআই ও এএসআইকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাদী তখন বলেন, তার সিটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ১৩ হাজার টাকা আছে। এরপর তাকে হাতকড়া লাগিয়ে দুই সোর্স সিটি ব্যাংকের বুথে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে বাদী ডাক-চিৎকার করলে আসামিরা পালিয়ে যান।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এরপর বন্ধু অভি জানান, বাদীকে যখন এটিএম বুথে নিয়ে যায় তখন আসামিরা অভির মায়ের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যান